Sunday, 26 June 2016

২০১৬ সালের ৫ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি বাংলা

ভাবুক ছেলেটি প্রিয় শিক্ষার্থী, বাংলা বিষয়ের ধারাবাহিক আলোচনায় আজ রয়েছে বাঙালির গৌরব বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসুকে নিয়ে লেখা ‘ভাবুক ছেল... thumbnail 1 summary
ভাবুক ছেলেটি
প্রিয় শিক্ষার্থী, বাংলা বিষয়ের ধারাবাহিক আলোচনায় আজ রয়েছে বাঙালির গৌরব বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসুকে নিয়ে লেখা ‘ভাবুক ছেলেটি’ থেকে প্রশ্নোত্তরের কিছু নমুনা।

প্রশ্ন: ভাবুক ছেলেটি আসলে কে ছিল?
উত্তর: দশ-এগারো বছরের ছেলেটি তেমন দুরন্ত নয়। পড়াশোনায় সে ভালো, খেলাধুলা করে। বাবা-মায়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘোরে। সময় পেলেই গাছগাছালি পর্যবেক্ষণ করে।
মেঘ ডেকে আকাশে বিদ্যুত্ চমকে বাজ পড়লে অবাক বিস্ময়ে ভাবে। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির অনেক কিছু নিয়েই তার নানা রকম ভাবনা আর জানার আগ্রহও বাড়তে থাকে। ছেলেটি বড় হয়ে প্রথম বাঙালি বৈজ্ঞানিক হিসেবে জগদ্বিখ্যাত হয়ে ওঠে। সেদিনকার সেই ভাবুক ছেলেটি আসলে ছিলেন স্যার জগদীশচন্দ্র বসু।
প্রশ্ন: কখন থেকে তিনি ‘বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু’ হয়ে ওঠেন?
উত্তর: বিলেতে এক বছর ডাক্তারি পড়ার পর অধ্যাপকের পরামর্শে ১৮৮১ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখান থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করার পর লন্ডন থেকে বিএসসি পাস করে ১৮৮৫ সালে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে এসে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক পদে যোগ দেন। এ সময় একই পদে একজন ইংরেজ অধ্যাপক যে বেতন পেতেন, ভারতীয়রা পেতেন তার তিন ভাগের দুই ভাগ। তিনি অস্থায়ীভাবে চাকরি করছিলেন বলে তাঁর বেতন আরও এক ভাগ কেটে নেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে তিনি দীর্ঘ তিন বছর বেতন না নিয়ে কর্তব্য পালন করেন। শেষ পর্যন্ত ইংরেজ সরকার তাঁকে স্বীকৃতি দিয়ে সব বকেয়া পরিশোধ করে চাকরিতে স্থায়ী করে। আর তখন থেকেই তিনি ‘বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু’ হয়ে ওঠেন।
প্রশ্ন: সে কবে, কোথা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল?
উত্তর: সে ১৮৭৪ সালে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
প্রশ্ন: সে ছোটবেলায় কী কী নিয়ে ভাবত?
উত্তর: শান্তশিষ্ট ছেলেটি ছোটবেলায় অনেক কিছু নিয়ে ভাবত। সে ভাবত, রোদবৃষ্টির কথা, মেঘ ডেকে আকাশে বিদ্যুত্ চমকালে কেন বাজ পড়ে। আরও ভাবত, ঝড়ে গাছপালা ভেঙে গেলে কিংবা কাটলে সেগুলো ব্যথা পায় কি না।
প্রশ্ন: তিনি বেশি পরিচিতি লাভ করেন কোন সত্য প্রমাণ করে?
উত্তর: জগদীশচন্দ্র বসু নানা বিষয়ে গবেষণা করেন। তবে তিনি বেশি পরিচিতি লাভ করেন ‘গাছেরও প্রাণ আছে’—এই সত্য প্রমাণ করে। তিনি দেখিয়েছেন, উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনের মধ্যে অনেক মিল আছে।

No comments

Post a Comment