Friday, 17 June 2016

২০১৬ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

 সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রিয় শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের অধ্যায়-৭ থেকে আজ একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরের নমুনা দেওয়া হলো। অধ্যায়-... thumbnail 1 summary

 সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রিয় শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের অধ্যায়-৭ থেকে আজ একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরের নমুনা দেওয়া হলো।


অধ্যায়-৭

নিচের ছকটি দেখে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।



ক. সংবিধান কী?
খ. ‘জনগণ সকল ক্ষমতার উত্স’ কথাটি বুঝিয়ে বলো।
গ. ওপরের ছকে ‘P’ ও ‘Q’ চিহ্নিত স্থানে কোন দুটি বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? তাদের মধ্যকার পার্থক্য লেখো।
ঘ. ছকে ‘O’ চিহ্নিত স্থানটি কী নির্দেশ করে? নির্দেশিত বিষয়টি বিশ্লে¬ষণ করো।
উত্তর: ক. সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার দলিল।
উত্তর: খ. একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণ সকল ক্ষমতার উত্স। সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতেই ন্যস্ত থাকে। জনগণ তাদের পছন্দ অনুযায়ী যোগ্য ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারে। এই নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করে। পৃথিবীর দেশে দেশে বর্তমানে এ ব্যবস্থায়ই সরকার গঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক দেশ, সুতরাং এ দেশের জনগণই সকল ক্ষমতার উত্স।
উত্তর: গ. ওপরের ছকে P চিহ্নিত স্থানটি নির্দেশ করেছে বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির একটি, আর তা হলো গণতন্ত্র। আর Q চিহ্নিত স্থানটি নির্দেশ করেছে বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির আরেকটি, সেটি হলো সমাজতন্ত্র। গণতন্ত্র আর সমাজতন্ত্রের মাঝে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। ওপরের ছকের ‘P’ ও ‘Q’ চিহ্নিত স্থান দুটির মধ্যকার পার্থক্য নিচে তুলে ধরা হলো:
সমাজতন্ত্রের লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমতা আনার মাধ্যমে সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সমাজতন্ত্রকে রাষ্ট্রের একটি মূল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
আর গণতন্ত্র হলো যেখানে মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা, মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকে। রাষ্ট্রের সব কাজে নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। জাতি, বর্ণ, গোত্র, নারী-পুরুষ কোনো প্রকার ভেদাভেদ ছাড়াই রাষ্ট্রের সর্বস্তরের জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় ও জাতীয় সমস্যা নিরসনে অবদান রাখতে পারে।
উত্তর: ঘ. ছকে ‘O’ চিহ্নিত স্থানটি বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার চারটি মূলনীতিকে নির্দেশ করে। এ চারটি মূলনীতি হলো জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় এ চার মূলনীতি দ্বারা দেশ পরিচালিত হয়। এ চার মূলনীতি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:
জাতীয়তাবাদ: একই ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বাঙালি জাতির মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য সৃষ্টি করেছে। তাই সংবিধানে বলা হয়েছে, একই ভাষা ও সংস্কৃতিতে আবদ্ধ বাঙালি জাতি যে ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ সংগ্রাম করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, সেই ঐক্য ও সংহতি হবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি।
সমাজতন্ত্র: অর্থনৈতিক সমতা আনার মাধ্যমে সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাই এ মূলনীতির লক্ষ্য। শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের একটি মূল ভিত্তি হিসেবে সমাজতন্ত্রকে গ্রহণ করা হয়।
গণতন্ত্র: রাষ্ট্রের সব কাজে নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই হলো গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি করার একটি প্রধান উদ্দেশ্য।
ধর্মনিরপেক্ষতা: রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষ যেন নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং কেউ কারও ধর্মপালনে বাধা না দিতে পারে সে জন্যই ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

No comments

Post a Comment