Thursday, 23 June 2016

২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর প্রস্তুতি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

* অধ্যায়-৪ প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের চতুর্থ অধ্যায়ের ওপর আলোচনা করব। প্রশ্ন: আমাদের পোশাকশিল্পের কিছু গুরুত্বপূর্... thumbnail 1 summary
* অধ্যায়-৪
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের চতুর্থ অধ্যায়ের ওপর আলোচনা করব।
প্রশ্ন: আমাদের পোশাকশিল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বর্ণনা করো।


উত্তর: বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হলো পোশাকশিল্প। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাকের মাধ্যমে। দেশের পোশাক কারখানায় লাখ লাখ পুরুষ ও নারী কাজ করেন। তাঁদের তৈরি পোশাক বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। পোশাকশিল্পের প্রসার ঘটায় এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য শিল্পও বিকশিত হচ্ছে।
প্রশ্ন: অর্থকরী ফসল কাকে বলে? বাংলাদেশের প্রধান দুটি অর্থকরী ফসলজাত পণ্যের বিবরণ দাও।
উত্তর: যেসব কৃষিপণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা যায়, সেগুলোকে অর্থকরী ফসল বলে। বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিপণ্য হচ্ছে পাট, চা ও তামাক।
পাট: পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিপণ্য। পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। বিপুলসংখ্যক মানুষ পাট চাষ ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ফলে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক জীবনের বড় অংশ পাটের ওপর নির্ভরশীল।
চা: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামে চা বেশি উত্পন্ন হয়। তবে বর্তমানে দিনাজপুর ও পঞ্চগড়েও চা চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশের চায়ের বিশেষ সুনাম থাকায় বিদেশে এর চাহিদা রয়েছে। চা রপ্তানি করে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
প্রশ্ন: বৃহত্ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহত্ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নিচে এর পার্থক্য দেওয়া হলো:
বৃহত্ শিল্পের পার্থক্য:
১. বাংলাদেশের কিছু কিছু কারখানায় বিপুল পরিমাণে পণ্য উত্পাদিত হয়। এদের বৃহত্ শিল্প বলে।
২. বৃহত্ শিল্পের মধ্যে রয়েছে সারশিল্প, সিমেন্টশিল্প, ওষুধশিল্প, কাগজশিল্প, চিনিশিল্প ইত্যাদি।
৩. বৃহত্ শিল্পগুলো আধুনিক শিল্প। যার প্রসার আধুনিক যন্ত্রপাতির উন্নতির সঙ্গে ঘটেছে।
৪. বৃহত্ শিল্পে অধিক শ্রমিক কাজ করতে পারে বলে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে।
৫. দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব শিল্পে উত্পাদিত সামগ্রীর একটা অংশ বিদেশে রপ্তানি হয়।
ক্ষুদ্র শিল্পের পার্থক্য:
১. কিছু কিছু ছোট কারখানায় স্থানীয়ভাবে অল্প পরিমাণে পণ্য উত্পাদিত হয়। এদের ক্ষুদ্র শিল্প বলে।
২. ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে রয়েছে কাঠশিল্প, কাঁসাশিল্প, মৃিশল্প, রেশমশিল্প, তাঁতশিল্প, তামাকশিল্প, চামড়াশিল্প প্রভৃতি।
৩. কিছু কিছু ক্ষুদ্র শিল্প আমাদের প্রাচীন শিল্প। যেমন—তাঁতশিল্প বহুকালের, বাংলার মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে রেখেছে দীর্ঘকাল ধরে।
৪. ক্ষুদ্র শিল্প ক্ষুদ্র পরিসরে অল্প মূলধনে পরিচালিত হয় বলে এখানে কমসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে।
৫. ক্ষুদ্র শিল্পে উত্পাদিত পণ্য দেশের চাহিদার অনেকাংশ মেটাতে সক্ষম হয়।

No comments

Post a Comment